‘জুরাসিক পার্ক’ চলচ্চিত্রের কল্যাণে ডাইনোসরের
আকার-আকৃতি কেমন ছিল তা প্রায় সবাই
জানেন। কিন্তু কেউ
যদি প্রশ্ন করেন ‘ডাইনোসরের মস্তিষ্কের গঠন কেমন ছিল? এটি নিয়ে বিজ্ঞানীদের তেমন কোনও ধারণাই নেই। নর্থ ক্যারোলাইনার ডারহামের ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোবায়োলজিস্ট
এরিক জারভিস বলেন, এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা কোনও ডাইনোসরের মস্তিষ্কের সন্ধান পাননি। তাই এরিক ও তার দল ডাইনোসরের মস্তিষ্কের গঠন জানতে
বিবর্তনের ধারায় ডাইনোসরের নিকটাত্মীয়
হিসেবে পরিচিত
বর্তমান যুগের কিছু প্রাণীর সাহায্য নিয়েছেন। পৃথিবীর বুকে ডাইনোসরেরও আগে কুমিরের আগমন ঘটে। তাই এরিক ও তার দল এক জাতের আমেরিকান কুমির নিয়ে
শুরু করলেন তাদের গবেষণা।
কুমিরগুলোর দেহের
মাংসের ওপর তেজস্ক্রিয় রশ্মি দিয়ে পরীক্ষা চালান এটা দেখতে যে-কোন জিন কুমিরের মস্তিষ্কের কাজগুলো নিয়ন্ত্রণ করে। দেখা গেল, কুমিরের মস্তিষ্কের সঙ্গে পাখির
মস্তিষ্কের মিল রয়েছে প্রায় ৮৫%। পাখির
মস্তিষ্কের ৭টি
অংশের মাঝে ৬টির সঙ্গে মিল রয়েছে কুমিরের মস্তিষ্কের। এছাড়া পাখির মস্তিষ্কের মতোই কুমিরের মস্তিষ্কেও এক ধরনের জিন রয়েছে। একই প্রজাতির একটি কুমির আরেকটি কুমিরের শব্দ
শুনলে এ জিনটি সক্রিয় হয়ে ওঠে।
কুমির ও পাখির মস্তিষ্কের গঠন পর্যালোচনা করে এরিক ও তার দল বলে, ‘কুমির ও পাখির মতোই ডাইনোসরের মস্তিষ্কেও একই ধরনের কর্টেক্স বা আবরণ এবং ৬টি উপ-অংশ ছিল। তাদের আচরণও ছিল অনেক সূক্ষ্ম। ডাইনোসররা হয়তো খুব জটিল প্রকৃতির ছিল।
কুমির ও পাখির মস্তিষ্কের গঠন পর্যালোচনা করে এরিক ও তার দল বলে, ‘কুমির ও পাখির মতোই ডাইনোসরের মস্তিষ্কেও একই ধরনের কর্টেক্স বা আবরণ এবং ৬টি উপ-অংশ ছিল। তাদের আচরণও ছিল অনেক সূক্ষ্ম। ডাইনোসররা হয়তো খুব জটিল প্রকৃতির ছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন