বিজ্ঞানের চোখে কঠিন হোক, সাধারণ মানুষের চোখে অসম্ভব হোক, বিমানবন্দরের রক্ষীদের কাছে মাথাব্যথা হোক... অ্যাডভেঞ্চার সফরে জীবন নিয়ে ফিরল নাইজেরিয়ান কিশোর

এয়ারপ্লেনে ওঠার খুব শখ ছিল ওর। সেই শখটা পূর্ণও হল। তবে এমন একটাভাবে সেই শখটা সফল হবে তা কে ভেবেছিল! একেবারে ২১,০০০ ফুট উচুঁতে উঠল ও, শুধু প্লেনের চাকায় চড়ে। সফর চলল পুরো আধাঘণ্টা...।

প্লেনের চাকায় চড়ে সফর করে এক নাইজেরিয়ান কিশোরের যা কীর্তি ঘটালেন তাতে সবার চক্ষু চড়কগাছ।

নাইজেরিয়ার লাগোসের বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তাকে ধুলো দিয়ে সেই কিশোর প্লেনে ওঠার চেষ্টা করেছিল। তবে বুঝতে পেরেছিল, টিকিট না হলে ওরা কিছুতেই প্লেনে উঠতে দেবে না। তাই প্লেনের এমন একটা জায়গা খুঁজছিল ও যাতে কেউ দেখতে না পারে।

তাই অগত্যা চাকার মধ্যে নিজেকে লুকিয়ে রাখল। নিয়ম মেনে চাকা খুলে গেল। প্লেনের দুটো ডানাকে জাপটে ধরে সফর শুরু হল। আস্তে আস্তে প্লেন, ওপরে উঠতে লাগল। ৫ হাজার মিটার, ১০ হাজার মিটার ছাপিয়ে প্লেন ওপরে উড়তে লাগল। বাতাসের বেগ বাড়ল হু হু করে। প্রচন্ড জোরে হাওয়া দিতে শুরু করল।

১০ হাজার মিটার ছাপিয়ে ১৫ হাজার, সেখান থেকে ২০ হাজার। হাওয়াটা এ বার শুধু জোরে নয়, প্রচণ্ড ঠাণ্ডাও বটে। শ্বাস নিতেও প্রচণ্ড অসুবিধা হচ্ছে। এ বার প্লেন নামল মাটিতে। কি মজা পেল সেই কিশোর... না সবাইকে অবাক করে সে বেঁচে আছে।

বিজ্ঞানের চোখে কঠিন হোক, সাধারণ মানুষের চোখে অসম্ভব হোক, বিমানবন্দরের রক্ষীদের কাছে মাথাব্যথা হোক... অ্যাডভেঞ্চার সফরে জীবন নিয়ে ফিরল নাইজেরিয়ান কিশোর।

প্লেন থেকে নামার পর সেই কিশোরকে চাকা থেকে বেরিয়ে আসতে দেখে এক যাত্রী খবর দেন কর্তৃপক্ষকে। এরপরই সবাই অবাক। সবার একটাই প্রশ্ন.. কি করে বেঁচে ফিরল ও...।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন