তেহরানে একজন ভিক্ষুকের আয় মাসিক ১৫০০ ডলার !

ইরানে ভিক্ষুকদের আয় বেশী একথা জানি। কিন্তু তাদের গড় আয় যে সরকারী কর্মকর্তাদের চেয়েও বেশী তা জানা ছিল না। এএফপি পরিবেশিত এ খবরটি পড়ে বিস্মিত হয়ে যাবেন যে কেউ।
দেখুন খবরটি-
 
ইরানের রাজধানী তেহরানে একজন ভিক্ষুক
প্রতি মাসে গড়ে ১ হাজার ৫০০ ডলার আয়
করে থাকে। এটি একজন সরকারি কর্মকর্তার আয়ের চেয়ে দ্বিগুণ। গত মঙ্গলবার মেজর বার্তা সংস্থার রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে। তেহরান মিউনিসিপ্যালিটির সমাজসেবা বিভাগের
কর্মকর্তা সাদেগ জাভালির জানান, রাজধানীর ভিক্ষুকরা দৈনিক কমপক্ষে ৫ লাখ রিয়াল উপার্জন করে। দেশটির সর্বনিম্ন মাসিক বেতন মাথাপিছু প্রায় ৩শ’ ডলার। ভিক্ষুকদের মধ্যে মহিলা ও শিশুও রয়েছে। এরা তেহরানের সড়কগুলো অথবা ধর্মীয় স্থানে ভিক্ষা করে। কয়েকজন কোটিপতি ভিক্ষুকের কাহিনী ২০০৯ সালের ৩ জুন ইরানের মাজান্দারান প্রদেশের সারি থেকে পুলিশ এক কোটিপতি ভিক্ষুককে গ্রেফতার করে। ইরান’স লেবার নিউজ এজেন্সী বা ইলনার বরাত দিয়ে প্রেসটিভি জানায়, গ্রেফতারকৃত ভিক্ষুক দুটি অ্যাপার্টমেন্ট ও একটি গাড়ির মালিক। গ্রেফতারের সময় তার কাছে ৭৮ লক্ষ রিয়াল বা ৭ লক্ষ ৮০ হাজার টুমান ( ৭৮০ মার্কিন ডলার) পাওয়া যায়। পুলিশী তদন্তে জানা গেছে, ঐ ভিক্ষুক প্রতিদিন তার প্রাইভেট কার দিয়ে ভিক্ষা করার জন্য বের হয় এবং যেখানে সে ভিক্ষাবৃত্তির জন্য বসে সেখান থেকে অনেক দূরে গাড়িটা পার্ক করে রাখে যাতে মানুষ বুঝতে না পারে যে, সে গাড়িটির মালিক। তদন্তে আরও জানা গেছে যে, ঐ ভিক্ষুক প্রতিদিন ৫০ হাজার তুমান (৫০ ডলার)। ইরানে ধর্নাঢ্য ভিক্ষুকদের চাঞ্চল্যকর সংবাদ এবারই প্রথম মিডিয়ায় আসেনি। গত বছরের ২৮ মার্চ আরব নিউজের রিপোর্টে বলা হয়েছে, তালাত হাবিবিয়ান নামের এক ভিক্ষুক তার জীর্ণ কুটিরে মৃত্যুর পরও তার প্রতিবেশীরা বুঝতে পারেনি যে, সে ছিল একজন প্রকৃত স্লামডগ মিলিওনার। পুলিশ যখন তার বাড়ীতে নগদ ১০ হাজার ডলার সমপরিমাণ ইরানী রিয়ালসহ বিশাল সম্পত্তির সন্ধান পায়,তখন সবার টনক নড়ে! বিষ্ময়ের ব্যাপার হলো তার কোন উত্তরাধিকারী ছিল না। ২০০৩ সালের একটি ঘটনা এখানে উল্লেখ করা যায়। ৪০ বছর বয়সী এক মহিলা তার ধর্নাঢ্য কারপেট ব্যবসায়ী স্বামীকে তালাক দিয়ে বসে । কারণ হিসেবে সে জানায়, তার স্বামীর প্রচুর অর্থ থাকা সত্ত্বেও ভিক্ষা করে। ২০০০ সালে পুলিশ তেহরানে এক ভিক্ষুককে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময় ব্যাংকে তার ব্যাংক একাউন্টে ১৫ হাজার ডলার সমপরিমাণ অর্থ পায়। পুলিশ জানতে পারে, সে একটি বিলাসবহুল বাড়ির মালিক । ইরান সরকার ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে নানা পদক্ষেপ ও লোভনীয় অফার দিলেও অনেকেই ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে আসতে চায় না। কারণ ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমেই তাদের আয় বেশী হয়। ইরান সরকার মাঝেমধ্যেই ছদ্মবেশী ভিক্ষুকদের ধরতে অভিযান চালায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন