মেজর সামারফোর্ড এবং তার অনুসরনকারী ঘাতক বজ্রবিদ্যুত

এক ব্রিটিশ মেজর নাম সামারফোর্ড। ১৯১৮ সালে ফ্লান্দেরস নামক একটি যুদ্ধের ময়দানে সামারফোর্ড বজ্রপাতে আক্রান্ত হলে তার দেহের নিম্নাংশ থেকে কোমর পর্যন্ত অবশ হয়ে যায়। এরপর পঙ্গুত্বের কারণে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলে তিনি স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য কানাডার ভান্কুবের চলে যান। ১৯২৪ সালের কোনো একদিনে সামারফোর্ড একটি গাছে চড়ে বরশি দিয়ে মাছ ধরার সময় আচমকা গাছটির উপর বজ্রপাত হয়। এবারও বজ্রাঘাতে বেচারা সামারফোর্ডএর শরীরের ডানপার্শ্ব অবশ হয়ে যায়। অবশেষে দুই বছর ভোগার পর সামারফোর্ড ধীরে ধীরে আরোগ্য লাভ করেন এবং পার্কে পায়চারী করার মত শারীরিক শক্তি ফিরে পান। এরপর ১৯৩০ সালের গ্রীস্মকালে পার্কে পায়চারী করার সময় আবারও তার উপর বজ্র আঘাত হানে এবং এবার তিনি স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে যান। দুই বছর পঙ্গুত্ব নিয়ে বেঁচে থাকার পর অবশেষে সামারফোর্ড মারা যান। কিন্তু এখানেই সব শেষ নয়, সামারফোর্ড এর মৃত্যুর ৪ বছর পর এক ঝড়ের রাতে একটি সমাধিক্ষেত্রের সমাধিপ্রস্তর বজ্রপাতের আঘাতে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। কে শুয়ে ছিলেন ছিলেন সেই সমাধিত? সে অন্য কেউ নয়, মেজর নাম সামারফোর্ড।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন